স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষামূলক, অনুপ্রেরণামূলক, কর্ম নিয়ে, সমাজ নিয়ে, নারীদের নিয়ে, ধর্ম নিয়ে, সত্য নিয়ে ও চরিত্র নিয়ে সেরা কিছু বাণী ও উক্তি (Swami Vivekananda Bani & Quotes In Bengali)
ভারত মাতার পবিত্র ভূমিতে বহু বীর এবং মহান সন্তান জন্ম নিয়েছেন, এবং তাঁদের মধ্যে একজন হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর শৈশবের নাম ছিলো নরেন্দ্রনাথ দত্ত, ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে উত্তর কলকাতার এক কায়স্থ দত্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। “স্বামী বিবেকানন্দ” নামটি তাঁকে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেব দিয়ে ছিলেন। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা স্বামী বিবেকানন্দের এর সেরা বাণী ও উক্তি গুলি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি। তবে সবার প্রথমে স্বামী বিবেকানন্দের সংক্ষিপ্ত জীবনীটা একটু দেখে নি।
| নাম | স্বামী বিবেকানন্দ |
| শৈশবের নাম | নরেন্দ্রনাথ দত্ত |
| কে ছিলেন | হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। |
| বাবার নাম | বিশ্বনাথ দত্ত |
| মায়ের নাম | ভুবনেশ্বরী দেবী |
| গুরুর নাম | রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব |
| জন্ম তারিখ | ১২-ই জানুয়ারি, ১৮৬৩ |
| জন্ম স্থান | উত্তর কলকাতা |
| শিক্ষা | সাহিত্য, দর্শন, ধর্ম, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ও শিল্পকলা বিষয়ের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ছিল। |
| বিদ্যালয় | ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন |
| বিশ্ববিদ্যালয় | প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা |
| জাতীয়তা | ভারতীয় |
| ধর্ম | হিন্দু ধর্ম |
| জাতি | বাঙালি |
| প্রভাবিত করেছেন | মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু, নিকোলা টেসলা, ও প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইত্যাদি। |
| মৃত্যু | ৪-ঠা জুলাই, ১৯০২ |
বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার মতো স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা এবং কর্ম বিষয়ক বাণীর সেরা কালেকশানটি ছবি সহ নিচে দেওয়া রয়েছে। নিচে দেওয়া Swami Vivekananda Bani এবং ছবি গুলোকে আপনি খুব সহজেই কপি অথবা ডাউনলোড করে মোবাইলে সঞ্চয় করতে পারবেন।
Swami Vivekananda Bani And Quotes in Bengali
“যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।”
“সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না।
—স্বামী বিবেকানন্দ
সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।”
Read More:- শিক্ষামূলক বাণী
“বিশ্ব একটি ব্যায়ামাগার যেখানে
—স্বামী বিবেকানন্দ
আমরা নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে এসেছি”
“এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে
—স্বামী বিবেকানন্দ
আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।”
“আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে
—স্বামী বিবেকানন্দ
জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।”
“শুধু বড়ো লোক হয়ো না…
—স্বামী বিবেকানন্দ
বড় মানুষ হও।”
স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি
“সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও,
—স্বামী বিবেকানন্দ
তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।”
“মহাবিশ্বের সীমাহীন পুস্তকালয়
—স্বামী বিবেকানন্দ
আপনার মনের ভীতর অবস্থিত”
“ওঠো এবং ততক্ষণ অবধি থেমো না,
—স্বামী বিবেকানন্দ
যতক্ষণ না তুমি সফল হচ্ছ”
“ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা…
—স্বামী বিবেকানন্দ
প্রেমের শক্তি অনেক বেশি শক্তিমান।”
“নিজের উপর বিশ্বাস না এলে…
—স্বামী বিবেকানন্দ
ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
“যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে
—স্বামী বিবেকানন্দ
দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন”
“জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”
—স্বামী বিবেকানন্দ
Read More:- বিখ্যাত বাংলা উক্তি
স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা বিষয়ক বাণী
শিক্ষা হলো মানব জাতির উন্নয়নের একটি মাত্র চাবিকাঠি। তাই Swami Vivekananda তাঁর শিক্ষা মূলক Bani ইর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আসুন দেখেনি স্বামীজির দেওয়া কিছু অমূল্য শিক্ষা বিষয়ক বাণী।
“যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই,
—স্বামী বিবেকানন্দ
সে আসলে মরতে বসেছে।
যত দিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।”
“অনুতাপ কর না,
—স্বামী বিবেকানন্দ
পূর্বে যে-সব কাজ করেছ,
সে-সব নিয়ে মাথা ঘামিও না,
এমন কি যে-সব ভাল কাজ করেছ,
তাও স্মৃতিপথ থেকে দূর করে দাও।”
“দুনিয়া আপনার সম্বন্ধে কি ভাবছে সেটা তাদের ভাবতে দিন।
—স্বামী বিবেকানন্দ
আপনি আপনার লক্ষ্যগুলিতে দৃঢ় থাকুন,
দুনিয়া আপনার একদিন পায়ের সম্মুখে হবে”
“প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দৃঢ় করে
—স্বামী বিবেকানন্দ
সেটাকে আপন করে নেওয়া উচিত
এবং প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দুর্বল করে দেয়,
তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত”
“শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না,
—স্বামী বিবেকানন্দ
তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি,
অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি।”
“অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করো না,
—স্বামী বিবেকানন্দ
তুমি যা করতে পারো সেটা করো
কিন্তু অন্যের উপর আশা করো না”
“আমাদের প্রথম কর্তব্য হল নিজেকে ঘৃণা না করা।
—স্বামী বিবেকানন্দ
উন্নত হইতে হইলে প্রথম নিজের উপর,
তারপরে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আবশ্যিক।
যাহার নিজের উপর বিশ্বাস নাই,
তাহার কখনই ঈশ্বরে বিশ্বাস আসিতে পারে না।”
“কোন জীবনই ব্যর্থ হইবে না,
—স্বামী বিবেকানন্দ
জগতে ব্যর্থতা বলিয়া কিছু নাই।
শতবার মানুষ নিজেকে আঘাত করিবে,
সহস্রবার হোঁচট খাইবে,
কিন্তু পরিণামে অনুভব করিবে,
সে ঈশ্বর।”
“শেখার জন্য এটাই হল প্রথম শিক্ষা…
—স্বামী বিবেকানন্দ
দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও যে বাইরের কোনো কিছুকে অভিশাপ দেবে না,
বাইরের কাউকে দোষ দেবে না,
কিন্তু উঠে দাড়াও নিজেকে দোষ দাও,
তুমি বুঝতে পারবে নিজেকে ধরে রাখার জন্য এটাই হল সঠিক পন্থা।”
অনুপ্রেরণামূলক বাণী স্বামীজির বাণী
“সব শক্তিই আপনার মধ্যে আছে সেটার উপর বিশ্বাস রাখুন,
—স্বামী বিবেকানন্দ
এটা বিশ্বাস করবেন না যে আপনি দুর্বল।
দাঁড়ান এবং আপনার মধ্যেকার দৈবত্বকে চিনতে শিখুন”
“ইচ্ছা, অজ্ঞতা এবং বৈষম্য…
—স্বামী বিবেকানন্দ
এই তিনটিই হলো বন্ধনের ত্রিমূর্তি”
“মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত,
—স্বামী বিবেকানন্দ
যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।”
“কখনো না বোলোনা, কখনো বোলোনা আমি করতে পারবোনা।
—স্বামী বিবেকানন্দ
তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতর আছে,
তুমি সব কিছুই করতে পারো।”
“জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“মস্তিস্ককে উচ্চ মানের চিন্তা-ভাবনা দিয়ে পূর্ণ করো,
—স্বামী বিবেকানন্দ
দিবারাত্র এগুলোকে তোমার সামনে রেখে চলো,
এগুলোর থেকে মহান কাজ বেরিয়ে আসবে।”
“নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন,
—স্বামী বিবেকানন্দ
যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন
আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের
সঠিক পথ দেখাতে পারবেন”
“উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও।
—স্বামী বিবেকানন্দ
যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও।
আর এটা সবসময় মাথায় রেখো,
তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা।
তোমার যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন,
সবটা তোমার মধ্যেই রয়েছে।
সুতরাং নিজের ভবিষ্যত্ নিজেই তৈরি করে নাও।”
কর্ম সম্পর্কে স্বামীজির বাণী
স্বামী বিবেকানন্দের দেওয়া কর্ম সম্পর্কিত বাণী গুলো নিচে দেওয়া রয়েছে। আপনি এই অমূল্য Swami Vivekananda Bani গুলোও পড়ে আপনার কাজের ওপর মনোযোগ দিতে পারবেন।
“একটি সময়ে একটিই কাজ কোরো এবং সেটা করার
—স্বামী বিবেকানন্দ
সময় নিজের সব কিছু তার মধ্যে ব্যয় করে দাও।”
“মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে।
—স্বামী বিবেকানন্দ
যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে,
সেই বুদ্ধিমান।
কোনো কাজই ছোট নয়।”
“সকল কাজ কর, কিন্তু অনাসক্ত হয়ে কর,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কাজের জন্যই কাজ কর, কখনও নিজের জন্য কর না।”
“চালাকির দ্বারা কোনো মহৎ কর্ম হয় না।”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“যখন তুমি ব্যস্ত থাকো তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয়,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয় না।”
“পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও…
—স্বামী বিবেকানন্দ
অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য…
এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে।”
“যা পারো নিজে করে যাও,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কারও ওপর আশা বা ভরসা কোনোটাই কোরো না।”
“কখনও বড় পরিকল্পনার হিসাব করবেন না,
—স্বামী বিবেকানন্দ
ধীরে ধীরে আগে শুরু করুন,
আপনার ভূমি নির্মাণ করুন তারপর ধীরে ধীরে এটিকে প্রসার করুন”
“কাজ করো নির্ভীকভাবে।
—স্বামী বিবেকানন্দ
এগিয়ে চলো সত্য আর ভালোবাসা নিয়ে।”
“নিজেদের বিপদ থেকে টেনে তোলো!
—স্বামী বিবেকানন্দ
তোমার উদ্ধার-সাধন তোমাকেই করতে হবে।
ভীত হয়ো না।
বারবার বিফল হয়েছো বলো নিরাশ হয়ো না।
কাল সীমাহীন, অগ্রসর হতে থাকো,
বারবার তোমার শক্তি প্রকাশ করতে থাকো,
আলোক আসবেই।”
সমাজ সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
স্বামীজি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত একজন সমাজ সংস্কারক, তিনি তাঁর সমাজ সম্পর্কিত বাণী গুলোর মাধ্যমে আমাদের সমাজ সম্পর্কিত ধারণা কে প্রভাবিত করেছেন। Swami Vivekananda এর দেওয়া বিখ্যাত সমাজ সম্পর্কিত বাণীর সেরা কালেকশানটি নিচে দেওয়া রয়েছে।
“যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই।
—স্বামী বিবেকানন্দ
আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি,
তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই,
কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই। ”
“মনে করিও না, তোমরা দরিদ্র।
—স্বামী বিবেকানন্দ
অর্থই বল নহে…
সাধুতাই-পবিত্রতাই বল।
আপনাতে বিশ্বাস রাখো।
প্রবল বিশ্বাসই বড় কাজের জনক।”
“সমাজ অপরাধীদের কারণে খারাপ হয়না
—স্বামী বিবেকানন্দ
বরং ভালো মানুষদের নীরবতার কারণে হয়”
নারীদের নিয়ে স্বামীজির বাণী
ঊনবিংশ শতাব্দীতে নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচার কে বন্ধ করতে Swami Vivekananda এর দেওয়া নারীদের সম্পর্কিত Bani গুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছিল। আসুন দেখে নিয়া যাক তাঁর দেওয়া কিছু নারীদের সম্পর্কিত বাণী।
“জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশি নিঃস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয়।”
“গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে?
যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই,
সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না।”
“একটি রাষ্ট্রের অগ্রগতি জানার সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেই রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“ভারতের জননীই আদর্শ নারী।
—স্বামী বিবেকানন্দ
মাতৃভাবই আদর্শ ও শেষ কথা।”
“মেয়েদের উন্নতি করতে পারো?
—স্বামী বিবেকানন্দ
তবে আশা আছে।
নইলে পশু জন্ম ঘুচবে না।”
“সেই নারীও ধন্য যার চোখে পুরুষ ভগবানের পিতৃভাবের প্রতীক।”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“ভারতীয় নারীদের যে রকম হওয়া উচিত,
—স্বামী বিবেকানন্দ
সীতা তার আদর্শ।”
“আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষিতা নয় বটে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কিন্তু তারা অনেক বেশি প্রবিত্র।”
“আমরা স্ত্রীলোককে নিচ, অধম, মহা হেয়, অপবিত্র বলি।
—স্বামী বিবেকানন্দ
তার ফল…
আমরা পশু, দাস, উদ্যমহীন, দরিদ্র।”
“পাঁচশো পুরুষের সাহায্যে ভারতবর্ষকে জয় করতে পঞ্চাশ বছর লাগতে পারে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কিন্তু পাঁচশো নারীর দ্বারা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা যেতে পারে।”
ধর্ম সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য, স্বামী বিবেকানন্দ বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করেছিলেন। তিনি তাঁর ধর্ম সম্পর্কিত ধারণা কে প্ৰকাশ করার জন্য যে বাণী গুলো দিয়েছেন সেগুলো নিচে দেওয়া রয়েছে।
“সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা,
—স্বামী বিবেকানন্দ
নিজের প্রতি বিশ্বাস করুন”
“ধর্ম এমন একটি ভাব,
—স্বামী বিবেকানন্দ
যাহা পশুকে মনুষ্যত্বে ও মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে।”
“প্রবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা কোরো,
—স্বামী বিবেকানন্দ
তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।”
“প্রার্থনা করা অপেক্ষা প্রাণ খুলিয়া হাসা অনেক ভালো।
—স্বামী বিবেকানন্দ
গান কর। দুঃখের হাত হইতে নিষ্কৃতি লাভ কর।”
“ভগবান যদিও সর্বত্র আছে বটে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কিন্তু তাঁকে আমরা জানতে পারি কেবল মানবচরিত্রের মধ্য দিয়ে।”
“জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতায় সেই পাপ।
—স্বামী বিবেকানন্দ
সকল প্রকার দুর্বলতা ত্যাগ করো…
দুর্বলতায় মৃত্যু, দুর্বলতায় পাপ।”
“প্রথমে অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে, তারপর ধর্ম”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“মানুষের সেবাই হলো ভগবানের সেবা”
—স্বামী বিবেকানন্দ
“শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম।
—স্বামী বিবেকানন্দ
দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ।
অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম,
অপরকে ঘৃণা করাই পাপ।”
“যত বেশি আমরা বাইরে গিয়ে অন্যদের ভালো করবো,
—স্বামী বিবেকানন্দ
আমাদের হৃদয় ততই বিশুদ্ধ হবে
এবং ভগবান সেখানে বাস করবেন”
“ঈশ্বর ব্যতীত জীবনের উচ্চতর লক্ষ্য আর কি হইতে পারে?
—স্বামী বিবেকানন্দ
ঈশ্বর স্বয়ংই মানুষের সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাঁহাকে দর্শন কর,
তাঁহাকে সম্ভোগ কর,
ঈশ্বর অপেক্ষা উচ্চতর বস্তু আমরা ধারণাই করিতে পারি না,
কারণ ঈশ্বর পূর্ণস্বরূপ।”
সত্য সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, সংগীতজ্ঞ এবং লেখক স্বামী বিবেকানন্দ, তাঁর সত্য সম্পর্কিত বাণীর দ্বারা বর্তমান বিশ্বকে সত্যের পথে হাঁটতে অনুপ্রাণিত করেছেন।
“সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।”
“সত্যকে হাজার আলাদা আলাদা উপায়ে বলা যেতে পারে,
—স্বামী বিবেকানন্দ
তারপরেও সব কিছু সত্যই থাকে”
“শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তারই জীবন,
—স্বামী বিবেকানন্দ
সংকোচনই মৃত্যু, প্রেমই জীবন, ঘৃণাই মৃত্যু”
“তুমি যখন নিজেকে দেহমাত্র বলিয়া ভাব,
—স্বামী বিবেকানন্দ
তখন তুমি বিশ্বজগৎ হইতে বিচ্ছিন্ন,
নিজেকে যখন জীব বলিয়া ভাব,
তখন তুমি সেই শাশ্বত মহান্ জাতির একটি কণিকামাত্র,
আর যখন নিজেকে আত্মা বলিয়া ভাব,
তখন তুমিই সব কিছু।”
“আমরা যেন প্রদীপ-স্বরূপ, আর ঐ প্রদীপের জ্বালাটাকেই আমরা ‘জীবন’ বলি।
—স্বামী বিবেকানন্দ
যখনই অম্লজান ফুরিয়ে যাবে, তখনই আলোটাও নিবে যাবে।
আমরা কেবল প্রদীপটাকে সাফ রাখতে পারি।
জীবনটা কতকগুলি জিনিষের মিশ্রণে উৎপন্ন,
সুতরাং জীবন অবশ্যই তার উপাদান-কারণগুলিতে লীন হবে।”
চরিত্র সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
স্বামীজির দেওয়া অন্যতম বাণী গুলোর মধ্যে একটি বিশেষ শ্রেণী হলো তাঁর দেওয়া চরিত্র সম্পর্কিত Swami Vivekananda Bani। স্বামী বিবেকানন্দের দেওয়া চরিত্র সম্পর্কিত বাণী গুলো নিচে দেওয়া রয়েছে।
“উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে বাহিরে টেনে বের করে আনো,
—স্বামী বিবেকানন্দ
এবং হালকা হও…
কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।”
“জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র,
—স্বামী বিবেকানন্দ
জগত এখন তাদের চায় যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য।”
“যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না।
—স্বামী বিবেকানন্দ
যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না।
যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।”
“সেবা করো তাৎপরতার সাথে।
—স্বামী বিবেকানন্দ
দান করো নির্লিপ্ত ভাবে।
ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে।
ব্যয় করো বিবেচনার সাথে।
তর্ক করো যুক্তির সাথে।
কথা বলো সংক্ষেপে।
“যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন।
—স্বামী বিবেকানন্দ
যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন
তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন
আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন,
তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন”
অপরের দোষত্রুটি দেখিয়া বেড়ান তো আমাদের কাজ নয়।
—স্বামী বিবেকানন্দ
উহাতে কোন উপকার হয় না।
এমন কি, ঐগুলির সম্বন্ধে আমরা চিন্তাও যেন না করি।
সৎ চিন্তা করাই আমাদের উচিত।
দোষের বিচার করিবার জন্য আমরা পৃথিবীতে আসি নাই।
সৎ হওয়াই আমাদের কর্তব্য।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)
স্বামী বিবেকানন্দের সেরা বাণী কি ছিল?
“নিজের উপর বিশ্বাস না এলে…
ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
স্বামী বিবেকানন্দের আসল নাম কি ছিল?
নরেন্দ্রনাথ দত্ত
স্বামী বিবেকানন্দ কিসের জন্য বিখ্যাত?
স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ সালের বিশ্ব ধর্ম সংসদে তাঁর যুগান্তকারী বক্তৃতার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এছাড়াও তিনি একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের প্রধান শিষ্য ছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দের পিতার নাম কি?
বিশ্বনাথ দত্ত
স্বামী বিবেকানন্দের মাতার নাম কি?
ভুবনেশ্বরী দেবী
স্বামী বিবেকানন্দ কিভাবে মারা গিয়েছিলেন?
স্বামী বিবেকানন্দ তার মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে যাওয়ার কারণে ৪-ঠা জুলাই, ১৯০২ সালে ৩৯ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন।
Final Word
আমাদের ওয়েবসাইটি ভিসিট করার জন্য় ধন্যবাদ, আশা করছি ওপরের Swami Vivekananda Bani Image গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্স-এ কমেন্ট করে আমাদের কাজটির প্রশংসা করতে ভুলবেন না।
অনুগ্ৰহ করে নোট করবেন:- আমাদের পোস্ট গুলো নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয়। তাই আরো অন্যান্য বাণী পেতে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকুন।