নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী | Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 126 তম জন্মদিন রচনা ও জীবনী (Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali pdf)

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী-Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী-Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali

ভারত মাতার এই পবিত্র ভূমিতে অনেক বীর এবং মহান বক্তিরা জন্ম নিয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যেই অন্যতম একজন হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আমাদের স্বাধীনতার পেছনে এই বীর এবং মহান বক্তিটির কতটা অবদান রয়েছে তা আমরা সকলেই জানি। এই চলতি বছরে আমরা তাঁর ১২৬ তম জন্ম বার্ষিকী পালন করতে চলেছি। এবং সেই কারণেই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী নিয়ে এসেছি। তবে সবার প্রথমে তাঁর জীবনীটি সংক্ষেপে একটি টেবিলের মাধ্যমে দেখেনি।

নামসুভাষচন্দ্র বসু
উপাধিনেতাজি
কে ছিলেন1. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম একজন সংগ্রামী।
2. আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগঠক ও সর্বাধিনায়ক।
3. রাজনীতিবিদ।
4. সিভিল সার্ভিস অফিসার।
পিতার নামজানকীনাথ বসু
মাতার নামপ্রভাবতী বসু
রাজনৈতিক গুরুচিত্তরঞ্জন দাশ
জন্ম তারিখ২৩-শে জানুয়ারি, ১৮৯৭
জন্ম স্থানওড়িশার কটক শহরে
শিক্ষাব্যাচেলর অফ আর্টস (B.A)
বিদ্যালয়1. র‍্যাভেনশো কলেজিয়েট স্কুল, কটক, ওড়িশা, ভারত।
2. প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুল।
বিশ্ববিদ্যালয়1. প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা
2. স্কটিশ চার্চ কলেজ
3. ফিটজউইলিয়াম কলেজ
বিখ্যাত স্লোগান1. “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”
2. “দিল্লি চলো”
জাতীয়তাভারতীয়
ধর্মহিন্দু ধর্ম
জাতিবাঙালি
মৃত্যু১৯৪৫ সালের ১৮-ই আগস্ট (মনে করা হয়)
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রথম জীবন

সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি পরাধীন ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটকে শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু এবং তাঁর মাতার নাম প্রভাবতী বসু। তিনি ছিলেন তাঁর মা বাবার নবম সন্তান।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষা জীবন

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পড়াশোনার দিকথেকে প্রচন্ড মেধাবী ও পারদর্শী ছিলেন। তিনি ১৯০২ সালে কটক শহরের প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করেন। এর পর তিনি ১২ বছর বয়সে কটক শহরের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি উচ্চ শিক্ষা অর্জনের উদ্যেশে ১৯১৩ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন এবং এখান থেকে তিনি দর্শনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে IAS হিসাবে নির্বাচত হয়েছিলেন, কিন্তু জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড দেখে তাঁর মন খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি ১৯২১ সালে এই চাকরি থেকে পদত্যাগ করে দেন।

Also Read:- শুভ প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক জীবন

১৯২১ সালে নেতাজি, গান্ধীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং গান্ধীজির নির্দেশ অনুযায়ী তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সংঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। কিন্তু পরে কিছু মতভেদের কারণে নেতাজি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে কিছু দিন পরে সুভাষকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় ফলে ফরোয়ার্ড ব্লক একটি স্বাধীন দলে পরিণত হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মূলত এই দলের মাধ্যমেই স্বাধীনতা সংগ্রামকে তীব্রতর করেছিলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান

নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের তীব্রতাকে কমানোর জন্য ব্রিটিশ সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে আরো অনেক সংগ্রামীকে কারারুদ্ধ করে ছিলো। ব্রিটিশ সরকারকে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য করার জন্য, নেতাজি জেলে আমরণ অনশন শুরু করেন। ফলে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেন। এরপর ১৯৪১ সালে সুভাষ তার বাড়ি থেকে পালিয়ে আফগানিস্তান হয়ে জার্মানিতে পৌঁছে যান। এবং সেখান থেকে তিনি জার্মানি ও জাপানের কাছে ভারত থেকে ব্রিটিশ রাজ দূর করার জন্য সাহায্যের আবেদন করেন। এরপর তিনি ১৯৪৩ সালে জার্মানি থেকে সিঙ্গাপুরে আসেন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন এবং স্লোগান দেন যে, “তোমরা আমাকে রক্ত ​​দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব“। আজাদ হিন্দ ফৌজ ও “দিল্লি চলো” স্লোগানের সাথে তিনি ভারতীয় ঔপনিবেশিক সরকারকে ওপর আক্রমণ করে দেন।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু

এটা মনে করা হয় যে তিনি ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান কিন্তু তার মৃত্যুর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু এখনও বিতর্কের বিষয়।

Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali pdf

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf টি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছদ্মনাম কি ছিল?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছদ্মনাম ছিল অরল্যান্ডো মাজোট্টা ।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার নাম কি?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার নাম জানকীনাথ বসু ছিল।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মায়ের নাম কি?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মায়ের নাম ছিল প্রভাবতী বসু।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মস্থান কোথায়?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মস্থান ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটকে শহরে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে কোন দিবস হিসাবে পালন করা হয় ?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় পরাক্রম দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্লোগান কি ছিল?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সেরা দুটি স্লোগান হলো
1. “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”
2. “দিল্লি চলো”।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কবে মারা গিয়েছিলেন ?

এটা মনে করা হয় যে ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র মারা যান।

Leave a Comment