আজকাল ব্যাংক ও অন্যান আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলি টাকা লেনদেন করা থেকে শুরু করে লোন নেওয়া অথবা ইনভেস্ট করার জন্য আমাদের কাছ থেকে KYC তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু এই কেওয়াইসি আসলে কি অথবা এর পুরো নাম কি তা আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জানেনা। তাই আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা KYC সংক্রান্ত বেসিক তথ্য গুলি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি।
KYC Full Form In Bengali
KYC-র ফুল ফর্ম হলো Know Your Customer। বাংলা ভাষায় কেওয়াইসি-র পূর্ণরূপ হলো নো ইওর কাস্টমার। একে বাংলাতে “আপনার গ্রাহককে জানুন” বলা হয়। সাধারণত কেওয়াইসির মাধ্যমে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলি তাদের গ্রাহকদের নাম, ঠিকানা, সহ পূর্ণাঙ্গ পরিচয় সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে থাকে।
KYC-র মূল উদ্দেশ্য
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে লোনের জন্য আবেদন করা, মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করা বা অনলাইন টাকা লেনদেন করা, এখন সর্বত্রই কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। এর পেছনের আসল কারণ হল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে অর্থ পাচার বা মানি লন্ডারিং এর মতো অপরাধমূলক কাজ গুলো থেকে বিরত রাখা। কেওয়াইসির মাধ্যমে সংগৃহিত তথ্য ও গ্রাহকের আর্থিক লেনদেনর ওপর ভিত্তি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলি অর্থ পাচার বা মানি লন্ডারিং এর মতো অপরাধমূলক কাজ গুলোর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে পারে।
KYC-র মাধ্যমে কি কি তথ্য সংগ্রহ করা হয়
KYC কমপ্লিট করার জন্য নিম্নলিখিত তথ্য গুলির প্রয়োজন হয়।
- গ্রাহকের নাম
- জন্ম তারিখ
- বাবার নাম
- মায়ের নাম
- বৈবাহিক অবস্থা
- ঠিকানা
- ফোন নম্বর
- প্যান কার্ড
- ও আধার কার্ড
KYC-র জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
KYC কমপ্লিট করার জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি ডকুমেন্টসের তালিকা নিম্নে দেওয়া রয়েছে।
- পাসপোর্ট
- ভোটার আইডি কার্ড
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- রেশন কার্ড
- ব্যাংক পাসবুকের কপি
- ল্যান্ডলাইন বা মোবাইল নম্বর
KYC-র অন্যান্য ফুল ফর্ম গুলি
- Kick Your Cousin 👉 কিক ইওর কোসিন
- Kick Your Customer 👉 কিক ইওর কাস্টমার
- Kinetic Yield Center 👉 কিনেটিক ইল্ড সেন্টার
- Know Your Client 👉 নো ইওর ক্লায়েন্ট
- Know Your Company 👉 নো ইওর কোম্পানি
- Know Your Criminals 👉 নো ইওর ক্রিমিনালস